জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়

জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়

উদ্ভিদের চলন
উদ্ভিদ হরমোনের প্রকারভেদ
মানব অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি ও তাদের কার্যাবলী
হরমোনজনিত ব্যাধির কারণ ও লক্ষণ
স্নায়ুতন্ত্রের পরিচিতি
স্নায়ুর প্রকারভেদ
মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের ভূমিকা ও অবস্থান
প্রাণীদের প্রতিক্রিয়া ও সমন্বয়
চোখের বিভিন্ন অংশের গঠন ও ভূমিকা
দৃষ্টির ত্রুটি ও সংশোধনের উপায়
প্রাণীদের মধ্যে গমন: প্রতিক্রিয়ার একটি ধরন
মানুষের চলনযোগ্য সন্ধি (Movable Joint) এবং কঙ্কাল পেশীর (Skeletal Muscle)

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)

১. নিম্নলিখিত কোন উদ্ভিদ হরমোনটি প্রধানত কোষের প্রসারণ এবং কাণ্ডের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে?
    (ক) অ্যাবসিসিক অ্যাসিড
    (খ) সাইটোকিনিন
    (গ) জিব্বেরেলিন
    (ঘ) অক্সিন
উত্তর: (ঘ) অক্সিন

২. প্রাণীদের রিফ্লেক্স আর্ক (প্রতিবর্ত চাপ)-এ নিম্নলিখিত কোন ক্রমটি দেখা যায়?
    (ক) গ্রাহক → কারক → নিউরোন → সুষুম্নাকাণ্ড → মস্তিষ্ক
    (খ) গ্রাহক → সংবেদী নিউরোন → চেষ্টীয় নিউরোন → সুষুম্নাকাণ্ড → কারক
    (গ) গ্রাহক → সংবেদী নিউরোন → সুষুম্নাকাণ্ড → চেষ্টীয় নিউরোন → কারক
    (ঘ) কারক → চেষ্টীয় নিউরোন → সুষুম্নাকাণ্ড → সংবেদী নিউরোন → গ্রাহক
উত্তর: (গ) গ্রাহক → সংবেদী নিউরোন → সুষুম্নাকাণ্ড → চেষ্টীয় নিউরোন → কারক

৩. নিম্নলিখিত কোনটি স্নায়ুতন্ত্রের কাজ নয়?
    (ক) স্নায়ু তাড়না পরিবহন
    (খ) হরমোন নিঃসরণ
    (গ) দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনে সমন্বয় সাধন
    (ঘ) উদ্দীপনা গ্রহণ
উত্তর: (খ) হরমোন নিঃসরণ

৪. স্পর্শের উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের কোনো অংশের চলনকে কী বলা হয়?
    (ক) ফটোট্রপিজম
    (খ) জিওট্রপিজম
    (গ) থিগমোট্রপিজম
    (ঘ) কেমোট্রপিজম
উত্তর: (গ) থিগমোট্রপিজম

৫. কোন হরমোনটি মানবদেহে পুরুষালি গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যগুলির বিকাশের জন্য দায়ী?
    (ক) ইস্ট্রোজেন
    (খ) প্রোজেস্টেরন
    (গ) টেস্টোস্টেরন
    (ঘ) ইনসুলিন
উত্তর: (গ) টেস্টোস্টেরন

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (SAQ)

১. উদ্ভিদে ফটোট্রপিজমের ভূমিকা এবং এর সাথে জড়িত হরমোনটির নাম সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ফটোট্রপিজম হল আলোর উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের কোনো অংশের দিক-নির্ধারিত বৃদ্ধি। সাধারণত কাণ্ড আলোর দিকে (ধনাত্মক ফটোট্রপিজম) এবং মূল আলোর বিপরীত দিকে (ঋণাত্মক ফটোট্রপিজম) বৃদ্ধি পায়। ফটোট্রপিজমের জন্য প্রধানত দায়ী হরমোনটি হল অক্সিন। যখন আলো কাণ্ডের একপাশে পড়ে, তখন অক্সিন ছায়াযুক্ত দিকে বেশি পরিমাণে জমা হয়, যা সেই দিকের কোষগুলির প্রসারণকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে কাণ্ড আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায়, যা সালোকসংশ্লেষণের জন্য সর্বাধিক আলো শোষণ নিশ্চিত করে।

২. সিন্যাপ্স কী? স্নায়ু তাড়না পরিবহনে এর কাজ বর্ণনা করো।

উত্তর: সিন্যাপ্স হল দুটি নিউরোন অথবা একটি নিউরোন এবং একটি কারক কোষের (যেমন পেশী বা গ্রন্থি) মধ্যে সংযোগস্থল। এটি একটি অতি ক্ষুদ্র ফাঁক যার মাধ্যমে স্নায়ু তাড়না প্রেরিত হয়। যখন একটি বৈদ্যুতিক তাড়না (অ্যাকশন পোটেনশিয়াল) প্রিসিনাপটিক নিউরোনের অ্যাক্সন টার্মিনালে পৌঁছায়, তখন এটি সিনাপটিক ক্লেফ্টে নিউরোট্রান্সমিটার নামক রাসায়নিক বার্তাবাহকের নিঃসরণ ঘটায়। এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলি ক্লেফ্ট অতিক্রম করে পোস্টসিনাপটিক নিউরোন বা কারক কোষের ঝিল্লির রিসেপ্টরগুলির সাথে আবদ্ধ হয়। এই আবদ্ধতা পোস্টসিনাপটিক নিউরোনে একটি নতুন বৈদ্যুতিক তাড়না তৈরি করতে পারে অথবা কারক কোষে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে তথ্যের পরিবহন সম্ভব হয়।

৩. মানবদেহে হরমোনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর: হরমোন মানবদেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল:
* বৃদ্ধি ও বিকাশ: গ্রোথ হরমোনের মতো হরমোন সামগ্রিক শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে, অন্যদিকে সেক্স হরমোন (ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন) যৌন পরিপক্কতা এবং গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যগুলির বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে।
* বিপাক: ইনসুলিন ও গ্লুকাগনের মতো হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা এবং শক্তি বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড হরমোন দেহের বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ করে।
* প্রজনন: সেক্স হরমোন (ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেস্টোস্টেরন) প্রজনন অঙ্গের বিকাশ, মহিলাদের মাসিক চক্র এবং পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদনে অপরিহার্য।

দীর্ঘ উত্তর প্রশ্ন (LAQ)

১. পরিবেশগত উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভিদে বিভিন্ন প্রকার চলন দেখা যায়। উপযুক্ত উদাহরণসহ প্রতিটি প্রকার চলনের অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া এবং জড়িত উদ্ভিদ হরমোনগুলি বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর:পরিবেশগত উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভিদে দুই ধরনের প্রধান চলন দেখা যায়: ট্রপিক চলন (দিক-নির্ধারিত বৃদ্ধিজনিত সাড়া) এবং ন্যাস্টিক চলন (অদিক-নির্ধারিত সাড়া)।

  • ট্রপিক চলন: এটি উদ্দীপকের উৎসের দিকে বা বিপরীত দিকে নির্দিষ্ট অভিমুখে ধীরে ধীরে বৃদ্ধিজনিত সাড়া। এর ফলে উদ্ভিদের স্থায়ী আকারের পরিবর্তন ঘটে।

    • ফটোট্রপিজম (আলোকবৃত্তি): আলোর উদ্দীপকের দিকে (কাণ্ডে ধনাত্মক) বা বিপরীত দিকে (মূলে ঋণাত্মক) বৃদ্ধি। আলোর একমুখী প্রভাবে কাণ্ডের আলোকিত দিকের তুলনায় বিপরীত দিকে অক্সিন হরমোনের বেশি ঘনত্ব কোষ বিভাজন ও প্রসারণকে উদ্দীপিত করে, ফলে কাণ্ড আলোর দিকে বেঁকে যায়। মূলে অক্সিনের উচ্চ ঘনত্ব বৃদ্ধি ব্যাহত করে, তাই মূল আলোর বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়। উদাহরণ: জানালার ধারে রাখা চারাগাছ আলোর দিকে বাঁকানো।

    • জিওট্রপিজম (অভিকর্ষবৃত্তি): অভিকর্ষ বলের প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভিদের অঙ্গের বৃদ্ধি। মূল অভিকর্ষের দিকে (ধনাত্মক) এবং কাণ্ড বিপরীত দিকে (ঋণাত্মক) বৃদ্ধি পায়। মূলের রুট ক্যাপে স্ট্যাটোসিস্ট এবং কাণ্ডের কোষ অভিকর্ষ অনুভব করে। এর ফলে অক্সিনের পুনর্বিন্যাস ঘটে। মূলে উচ্চ ঘনত্ব বৃদ্ধি কমায় এবং কাণ্ডে কম ঘনত্ব বৃদ্ধি বাড়ায়। উদাহরণ: বীজ থেকে চারা বেরোনোর সময় মূল নীচের দিকে ও কাণ্ড উপরের দিকে বৃদ্ধি।

    • থিগমোট্রপিজম (স্পর্শবৃত্তি): স্পর্শের উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়ায় চলন। লতানো উদ্ভিদের আকর্ষী কোনো অবলম্বন স্পর্শ করলে স্পর্শ করা অংশের কোষের বৃদ্ধি কম হয় এবং বিপরীত দিকের বৃদ্ধি বেশি হওয়ায় আকর্ষী পেঁচিয়ে যায়। অক্সিন ও ইথিলিন হরমোন এক্ষেত্রে ভূমিকা নেয়। উদাহরণ: মটর গাছের আকর্ষী লাঠিকে পেঁচানো।

    • কেমোট্রপিজম (রাসায়নিক বৃত্তি): রাসায়নিক পদার্থের উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের অঙ্গের চলন। রাসায়নিক ঘনত্বের গ্রেডিয়েন্ট বৃদ্ধির দিক নির্ধারণ করে। উদাহরণ: ডিম্বাণু নিঃসৃত রাসায়নিকের আকর্ষণে পরাগনালীর বৃদ্ধি।

    • হাইড্রোট্রপিজম (জলবৃত্তি): জলের উৎসের দিকে উদ্ভিদের অঙ্গের বৃদ্ধি (সাধারণত মূল)। জলের অভাবের দিকে বৃদ্ধি কম ও প্রাচুর্যের দিকে বেশি হওয়ায় মূল জলের দিকে বেঁকে যায়। হরমোন এক্ষেত্রে ভূমিকা নেয় বলে মনে করা হয়। উদাহরণ: শুষ্ক মাটিতে মূল জলের সন্ধানে গভীরে প্রবেশ।

  • ন্যাস্টিক চলন: এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অদিক-নির্ধারিত দ্রুত সাড়া। এটি কোষের টর্গার চাপের পরিবর্তনের ফলে ঘটে এবং অস্থায়ী আকারের পরিবর্তন ঘটায়।

    • থিগমোন্যাস্টি (স্পর্শজনিত ন্যasty) বা সিসমোন্যাস্টি: স্পর্শ, আঘাত বা কম্পনের প্রতিক্রিয়ায় চলন। লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে মুড়ে যাওয়া পালভিনাসের টর্গার চাপের পরিবর্তনে হয়।

    • নিকটিন্যাস্টি (দিবানিশা চলন): আলো ও তাপমাত্রার দৈনিক পরিবর্তনে চলন। ফুল ফোটা ও বন্ধ হওয়া (ফোটোন্যাস্টি) এবং পাতার নিদ্রাকালীন চলন পালভিনাসের টর্গার চাপে হয়।

    • ফোটোন্যাস্টি (আলোজনিত ন্যasty): আলোর তীব্রতার পরিবর্তনে চলন। পদ্ম ও সূর্যমুখী দিনের আলোয় ফোটে ও কম আলোয় বন্ধ হয়।

    • থার্মোন্যাস্টি (তাপজনিত ন্যasty): তাপমাত্রার পরিবর্তনে চলন। টিউলিপ ফুল উচ্চ তাপমাত্রায় খোলে ও নিম্ন তাপমাত্রায় বন্ধ হয়।

 

২: মানব স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজ বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করো এবং প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (CNS), প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র (PNS) এবং বিভিন্ন প্রকার নিউরোনের ভূমিকা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করো।

উত্তর:

মানব স্নায়ুতন্ত্র দেহের প্রধান নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়কারী তন্ত্র। এটি পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে, সেগুলোকে বিশ্লেষণ করে এবং দেহের বিভিন্ন অংশে উপযুক্ত সাড়া প্রদানের জন্য নির্দেশ পাঠায়। গঠনগতভাবে এটি দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (CNS) এবং প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র (PNS)।

  • কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (CNS): মস্তিষ্ক (Brain) এবং সুষুম্নাকাণ্ড (Spinal Cord) নিয়ে গঠিত। মস্তিষ্ক করোটির মধ্যে সুরক্ষিত এবং চিন্তা, বুদ্ধি, আবেগ, স্মৃতি ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর প্রধান অংশগুলি হল গুরুমস্তিষ্ক (cerebrum), ছোটমস্তিস্ক (cerebellum) ও মস্তিষ্ককাণ্ড (brainstem)। সুষুম্নাকাণ্ড মেরুদণ্ডের মধ্যে অবস্থিত এবং মস্তিষ্ক থেকে দেহের নিম্নাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি মস্তিষ্ক ও PNS-এর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

  • প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র (PNS): CNS-এর বাইরে অবস্থিত স্নায়ু জালিকা। এটি সংবেদী অঙ্গ থেকে CNS-এ তথ্য পাঠায় এবং CNS থেকে নির্দেশাবলী কারক অঙ্গগুলিতে বহন করে। কার্যকরীভাবে এটি সোমাটিক স্নায়ুতন্ত্র (Skeletal পেশীর স্বেচ্ছাসেবী চলন নিয়ন্ত্রণ করে) এবং অটোনোমিক স্নায়ুতন্ত্রে (অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ও গ্রন্থির অনৈচ্ছিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে) বিভক্ত। অটোনোমিক স্নায়ুতন্ত্রের দুটি শাখা হল সিম্প্যাথেটিক (বিপদকালে সক্রিয়) ও প্যারাসিম্প্যাথেটিক (স্বাভাবিক অবস্থায় সক্রিয়)।

  • প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় নিউরোনের ভূমিকা: প্রতিবর্ত ক্রিয়া হল উদ্দীপকের প্রতি দ্রুত, স্বয়ংক্রিয় ও অনৈচ্ছিক সাড়া। এটি প্রতিবর্ত চাপ (reflex arc) নামক একটি নির্দিষ্ট স্নায়বিক পথ অনুসরণ করে।

    • সংবেদী নিউরোন (Sensory Neuron): এরা সংবেদী অঙ্গ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং বৈদ্যুতিক তাড়নার মাধ্যমে CNS-এ পাঠায়। এদের রিসেপ্টর উদ্দীপনা গ্রহণে সাহায্য করে।

    • ইন্টারনিউরোন (Interneuron): CNS-এর মধ্যে অবস্থিত, সংবেদী ও মোটর নিউরোনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং উদ্দীপনা বিশ্লেষণে সাহায্য করে। কিছু সরল প্রতিবর্তে এটি অনুপস্থিত থাকতে পারে।

    • মোটর নিউরোন (Motor Neuron): CNS থেকে তাড়না কারক অঙ্গ (পেশী বা গ্রন্থি)-তে বহন করে এবং সাড়া প্রদানে নির্দেশ দেয়। পেশী সংকোচন বা গ্রন্থি নিঃসরণ এর ফলেই ঘটে।

  • উদাহরণস্বরূপ, গরম জিনিস স্পর্শ করলে ত্বকের রিসেপ্টর উদ্দীপনা গ্রহণ করে সংবেদী নিউরোনের মাধ্যমে সুষুম্নাকাণ্ডে পাঠায়। সেখানে ইন্টারনিউরোন সেই তথ্য মোটর নিউরোনে প্রেরণ করে, যা হাতের পেশীকে সংকুচিত করার নির্দেশ দেয় এবং আমরা দ্রুত হাত সরিয়ে নিই। এই দ্রুত ও অনৈচ্ছিক সাড়া আমাদের তাৎক্ষণিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
Scroll to Top