প্রলয়োল্লাস - কাজী নজরুল ইসলাম

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
১.“প্রলয়োল্লাস” কবিতায় কবি কী আহ্বান জানান?
ক) নীরবতা পালনের
খ) জয়ধ্বনি করার
গ) প্রতিবাদ থামানোর
ঘ) শান্তি প্রতিষ্ঠার
উত্তরঃ খ) জয়ধ্বনি করার
২.”কাল-ভয়ংকরের বেশে এবার ওই আসে সুন্দর!” – এখানে ‘সুন্দর’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে —
ক) প্রকৃতি
খ) প্রেম
গ) নতুন সৃষ্টি
ঘ) দেবতা
উত্তরঃ গ) নতুন সৃষ্টি
৩. কবিতায় “বজ্রশিখার মশাল” কী বোঝায়?
ক) শক্তি ও আলো
খ) অন্ধকার
গ) মৃদু আলোর প্রতীক
ঘ) শান্তি
উত্তরঃ ক) শক্তি ও আলো
৪.কবি ‘প্রলয়’-কে কেমন রূপে দেখিয়েছেন?
ক) ধ্বংসকারী ও ভয়ংকর
খ) কেবল নিষ্ঠুর
গ) ভয়মিশ্রিত নির্মাতা
ঘ) সুন্দর ও প্রেমময়
উত্তরঃ গ) ভয়মিশ্রিত নির্মাতা
৫. ‘মাভৈঃ মাভৈঃ’ শব্দের অর্থ কী?
ক) যুদ্ধ করো
খ) ভয় করো না
গ) এগিয়ে চলো
ঘ) জয়ধ্বনি করো
উত্তরঃ খ) ভয় করো না
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (SAQ)
১. কবিতায় ‘প্রলয়’ কী নির্দেশ করে?
উত্তরঃ প্রলয় এখানে একটি ধ্বংসাত্মক শক্তি, যা পুরনো ও পচে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন সমাজ নির্মাণের প্রতীক।
২. “তোরা সব জয়ধ্বনি কর!” — এই আহ্বান কার উদ্দেশ্যে?
উত্তরঃ এই আহ্বান নিপীড়িত, শোষিত মানুষদের উদ্দেশ্যে; যারা বিদ্রোহে সামিল হবে।
৩. ‘জরায়-মরা মুমূর্ষু’ কার প্রতীক?
উত্তরঃ পুরাতন, মৃতপ্রায়, নৈতিকতা ও প্রাণহীন সমাজব্যবস্থার প্রতীক।
দীর্ঘ উত্তর প্রশ্ন (LAQ)
১. কাজী নজরুল ইসলামের “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় ‘প্রলয়’-এর রূপ ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো |
উত্তরঃ এই কবিতায় ‘প্রলয়’ কেবল ধ্বংস নয়, বরং এটি এক নবজাগরণের সূচনা। সমাজের অন্যায়, শোষণ, কুসংস্কার ভেঙে ফেলে এক নতুন, মুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান কবি দিয়েছেন। প্রলয়ের মাধ্যমে কবি চেয়েছেন চেতনার আগুন জ্বালাতে, যেখান থেকে জন্ম নেবে এক সাহসী, সুবিচারভিত্তিক সমাজ।
২. “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় বিদ্রোহী সত্তার প্রকাশ কীভাবে ঘটেছে?
উত্তরঃ কবিতা জুড়ে রয়েছে দ্রোহ ও সংগ্রামের ভাষা, যেমন ‘বজ্রশিখার মশাল’, ‘রক্ত-তড়িৎ চাবুক’, ‘ভাঙা-গড়া খেলা’ — এইসব চিত্র ব্যবহার করে নজরুল তাঁর বিদ্রোহী সত্তাকে প্রকাশ করেছেন। তিনি ভয় না পেতে, জয়ধ্বনি করতে ও নতুন নির্মাণে অংশ নিতে পাঠককে আহ্বান জানিয়েছেন। এই কবিতা তাঁর ‘বিদ্রোহী কবি’ পরিচয়ের অন্যতম নিদর্শন।