জ্ঞানচক্ষু - আশাপূর্ণা দেবী

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের নতুন মেসোমশাই পেশায় কী ছিলেন?
A) ডাক্তার
B) লেখক ও কলেজের প্রফেসর
C) আইনজীবী
D) নাট্যকার
উত্তর:B) লেখক ও কলেজের প্রফেসর - তপনের গল্পটি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল?
A) প্রবাসী
B) দেশ
C) সন্ধ্যাতারা
D) আনন্দবাজার
উত্তর:C) সন্ধ্যাতারা - তপনের লেখা গল্পটির নাম কী ছিল?
A) প্রথম প্রেম
B) ছায়া
C) প্রথম দিন
D) লেখক
উত্তর:C) প্রথম দিন - মেসোমশাই গল্পটিকে কেমন করে ছাপিয়েছিলেন?
A) অপরিবর্তিতভাবে
B) তপনের নাম বাদ দিয়ে
C) সম্পূর্ণ নতুন করে ‘কারেকশান’ করে
D) তপনের অনুমতি নিয়ে
উত্তর:C) সম্পূর্ণ নতুন করে ‘কারেকশান’ করে - ‘জ্ঞানচক্ষু’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
A) চিকিৎসার যন্ত্র
B) লেখকের চোখ
C) অন্তর্দৃষ্টি ও আত্মিক উপলব্ধি
D) বিজ্ঞানের দৃষ্টি
উত্তর:C) অন্তর্দৃষ্টি ও আত্মিক উপলব্ধি
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (SAQ)
- তপন কেন লেখক হতে চেয়েছিল?
➤ নতুন মেসোমশাইকে দেখে তপনের মনে লেখক হওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়। - তপনের গল্পটি পড়ার পর তার প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
➤ সে দেখে গল্পটি তার নিজের ভাষায় নেই, সম্পূর্ণ বদলে গেছে। সে ব্যথিত ও হতাশ হয়। - তপনের ‘জ্ঞানচক্ষু’ কখন খুলে যায়?
➤ যখন সে দেখে একজন লেখকও সাধারণ মানুষের মতো, তখন তার ‘জ্ঞানচক্ষু’ খুলে যায়।
দীর্ঘ উত্তর প্রশ্ন (LAQ)
- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের চরিত্রের মধ্যে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়?
➤ গল্পের শুরুতে তপন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লেখে। প্রথমে তার গল্প ছাপা হলেও সে খুশি হতে পারে না, কারণ সেটি তার নিজের ভাষায় ছিল না। এই অভিজ্ঞতা তাকে শেখায় যে লেখক হওয়া মানে শুধু ছাপা হওয়া নয়, নিজের কণ্ঠস্বর রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ। এ থেকে সে আত্মসম্মান ও আত্মনির্ভরতার পাঠ নেয়। - আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে কী বার্তা দেওয়া হয়েছে?
➤ লেখিকা এই গল্পের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, বাহ্যিক দৃষ্টির চেয়ে অন্তর্জ্ঞান অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা চোখে দেখে কিন্তু অনুভব করতে পারেন না। তপনের অভিজ্ঞতা দেখায় যে সত্যিকার জ্ঞান আসে নিজের অনুভব থেকে, অন্যের দ্বারা তৈরি নয়। লেখিকা বাস্তব জীবন ও মানুষের আচরণের সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণকেই ‘জ্ঞানচক্ষু’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।