বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান - রাজশেখর বসু

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
1. “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধটির লেখক কে?
A) জীবনানন্দ দাশ
B) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
C) রাজশেখর বসু
D) সুকুমার রায়
উত্তর: C) রাজশেখর বসু
2. বাংলা বৈজ্ঞানিক রচনার প্রধান প্রতিবন্ধকতা কী বলে লেখক উল্লেখ করেছেন?
A) শিক্ষকের অভাব
B) ভালো অনুবাদক নেই
C) বিজ্ঞান চর্চার ইচ্ছার অভাব
D) পরিভাষার অভাব
উত্তর: D) পরিভাষার অভাব
3. রাজশেখর বসু কী কারণে ‘স্পর্শকাতর কাগজ’ শব্দবন্ধকে অপ্রাসঙ্গিক বলেছেন?
A) শব্দটি ইংরেজি থেকে নেয়া
B) শব্দটি ভুল বানানে লেখা
C) বাংলা ভাষায় তা উৎকট শোনায়
D) শব্দটি অলংকারসমৃদ্ধ
উত্তর: C) বাংলা ভাষায় তা উৎকট শোনায়
4. পরিভাষা রচনার ক্ষেত্রে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কী উদ্যোগ নেয়?
A) এককভাবে কাজ করে
B) সরকারি নির্দেশ জারি করে
C) সমিতি গঠন করে যৌথভাবে কাজ করে
D) বিদেশি অনুবাদক নিয়ে আসে
উত্তর: C) সমিতি গঠন করে যৌথভাবে কাজ করে
5. লেখক ‘আলোকতরঙ্গ’ এর পরিবর্তে কী ধরনের বিকল্প শব্দ প্রয়োগকে নিরুৎসাহিত করেছেন?
A) ইংরেজি শব্দ
B) প্রচলিত বাংলা শব্দ
C) অলংকারময় শব্দ
D) সাধারণ রূপক বা সহজ বর্ণনা
উত্তর: D) সাধারণ রূপক বা সহজ বর্ণনা
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (SAQ)
1. লেখক ‘পরিভাষা’ কী উদ্দেশ্যে ব্যবহারের কথা বলেছেন?
উত্তর: ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করা ও অর্থকে সুনির্দিষ্ট করা।
2. প্রথম শ্রেণির পাঠকদের ভাষাগত দিক থেকে সুবিধা কোথায়?
উত্তর: তারা ইংরেজির প্রভাবমুক্ত হওয়ায় বাংলা পরিভাষা সহজে গ্রহণ করতে পারে।
3. বিজ্ঞান রচনায় অলংকার প্রয়োগ সম্পর্কে লেখকের মত কী?
উত্তর: অলংকার যত কম ব্যবহার হয়, বৈজ্ঞানিক ভাষা তত স্পষ্ট ও উপযুক্ত হয়।
দীর্ঘ উত্তর প্রশ্ন (LAQ)
1. “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে রাজশেখর বসু মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষার পক্ষে কী যুক্তি দিয়েছেন?
উত্তর: রাজশেখর বসু মনে করেন, বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু তথ্য দেওয়া নয়, বরং তা বোঝানো এবং যুক্তিসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করা। মাতৃভাষায় শেখালে শিক্ষার্থীরা ভাষাগত বাধা ছাড়াই বিষয়টি বুঝতে পারে। বাংলা ভাষা যথেষ্ট সমৃদ্ধ, যদি সঠিক পরিভাষা ও অনুবাদ ব্যবহার করা হয় তবে কঠিন বৈজ্ঞানিক ধারণাও বোঝানো সম্ভব। লেখক বিশ্বাস করেন, মাতৃভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা সমাজে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করে এবং শিক্ষাকে গণমুখী করে তোলে।
2. “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান” প্রবন্ধে লেখক কীভাবে বৈজ্ঞানিক রচনায় ইংরেজির প্রভাব ও অনুবাদ সমস্যা তুলে ধরেছেন?
উত্তর: লেখক দেখিয়েছেন, অনেক লেখক ইংরেজিতে ভাবেন এবং হুবহু অনুবাদ করেন, ফলে ভাষা কৃত্রিম ও অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। যেমন “নীলচিত্রের অবস্থায় পৌঁছায়নি” বা “প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না” — এইসব বাক্য বাংলা ভাষার স্বাভাবিক ধারার পরিপন্থী। লেখক পরামর্শ দেন, ভাবটা বাংলায় চিন্তা করে প্রকাশ করা উচিত। প্রয়োজনীয় পরিভাষা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকেও বিজ্ঞান বোঝানো যায়, তবে তার জন্য বাংলা ভাষার স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে।