আফ্রিকা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (MCQ)
১. ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কবি আফ্রিকাকে কিভাবে কল্পনা করেছেন?
a) সাহসী এক রাজা হিসেবে
b) যুদ্ধরত সৈনিক হিসেবে
c) কালো বস্ত্র পরিহিতা এক নারী রূপে
d) এক পাখির রূপে
উত্তর: c) কালো বস্ত্র পরিহিতা এক নারী রূপে
২. কবিতায় আফ্রিকার ‘মানবরূপ’ কেন ‘অপরিচিত’ ছিল?
a) আফ্রিকা দূরদেশ হওয়ায়
b) তাকে সভ্য সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল
c) আফ্রিকার ভাষা ছিল দুর্বোধ্য
d) সেখানে শিক্ষা ছিল না
উত্তর: b) তাকে সভ্য সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল
৩. ‘সভ্যের বর্বর লোভ’ – এখানে ‘সভ্য’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
a) আধুনিক বিজ্ঞানী
b) পাশ্চাত্য ঔপনিবেশিক শক্তি
c) দার্শনিকগণ
d) শিক্ষাবিদগণ
উত্তর: b) পাশ্চাত্য ঔপনিবেশিক শক্তি
৪. কবিতায় ‘দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতো’ কী বোঝায়?
a) শিকারীদের অস্ত্র
b) দাসব্যবসায়ীদের নিষ্ঠুরতা
c) আফ্রিকার নিজস্ব সংস্কৃতি
d) সাহেবদের ভ্রমণজুতো
উত্তর: b) দাসব্যবসায়ীদের নিষ্ঠুরতা
৫. কবি কবিতার শেষদিকে কী আবেদন করেছেন?
a) প্রতিশোধ নেওয়ার
b) আফ্রিকাকে মুছে ফেলার
c) ক্ষমা চাওয়ার
d) নতুন দেশ গঠনের
উত্তর: c) ক্ষমা চাওয়ার
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) – [প্রতিটি ১ নম্বর]
১. কবি কেন বলেন, ‘সভ্যের বর্বর লোভ’?
উত্তর: কারণ তথাকথিত সভ্য জাতিগুলো আফ্রিকায় বর্বরতার মতো নিষ্ঠুর লালসা ও দাসত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল।
২. আফ্রিকাকে ‘কালো ঘোমটার নিচে’ বলার অর্থ কী?
উত্তর: এটি আফ্রিকার অজানা, অবহেলিত এবং গোপন শক্তির প্রতীক — যাকে বিশ্ব চিনতে পারেনি।
৩. কবি আফ্রিকার ভবিষ্যত নিয়ে কী আশাবাদ প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: কবি বিশ্বাস করেন আফ্রিকা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ও আত্মমর্যাদায় জেগে উঠবে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (SAQ)
১. কবি কেন বলেন, ‘সভ্যের বর্বর লোভ’?
উত্তর: কারণ তথাকথিত সভ্য জাতিগুলো আফ্রিকায় বর্বরতার মতো নিষ্ঠুর লালসা ও দাসত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল।
২. আফ্রিকাকে ‘কালো ঘোমটার নিচে’ বলার অর্থ কী?
উত্তর: এটি আফ্রিকার অজানা, অবহেলিত এবং গোপন শক্তির প্রতীক — যাকে বিশ্ব চিনতে পারেনি।
৩. কবি আফ্রিকার ভবিষ্যত নিয়ে কী আশাবাদ প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: কবি বিশ্বাস করেন আফ্রিকা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ও আত্মমর্যাদায় জেগে উঠবে।
দীর্ঘ উত্তর প্রশ্ন (LAQ)
১. কবিতায় আফ্রিকার প্রতি পাশ্চাত্য জাতির আচরণ কিভাবে তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তর: কবিতায় পাশ্চাত্য জাতিদের ‘সভ্য’ পরিচয়ের আড়ালে তাদের নৃশংসতা ও লোভ দেখানো হয়েছে। তারা আফ্রিকাকে লুট করেছে, মানুষকে দাস বানিয়েছে, অরণ্য ও ধূলিকে রক্ত ও অশ্রুতে ভিজিয়েছে। এই নির্লজ্জ নিষ্ঠুরতা কবি উপস্থাপন করেছেন “নির্লজ্জ অমানুষতা”, “মানবরূপের প্রতি অবজ্ঞা”, “দস্যু-পায়ের চিহ্ন” ইত্যাদি চিত্রকল্পে।
২. ‘আফ্রিকা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ কী বার্তা দিতে চেয়েছেন বিশ্বকে?
উত্তর: কবি বলতে চেয়েছেন, আফ্রিকা কেবল এক নিপীড়িত ভূখণ্ড নয়, বরং তা এক জীবন্ত আত্মা। এই আত্মাকে ভুলে যাওয়া, অবজ্ঞা করা সভ্যতার জন্য লজ্জার। তিনি আশা করেন, নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার পরেও আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়াবে। কবিতার শেষ অংশে তিনি সভ্যতার পক্ষ থেকে ‘ক্ষমা’ প্রার্থনার মাধ্যমে মানবতার শেষ পুণ্যবাণী তুলে ধরেছেন। এই বার্তা শুধু আফ্রিকার জন্য নয়, বরং সব শোষিত জাতির পক্ষেই এক আবেদন।